সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য এবং আইসিটি ও আইটিইএস (আইটি সংশ্লিষ্ট সার্ভিসেস) খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ হরতাল!
তিনি বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক বাজার এখন উন্নত বেসরকারি ইকুইটি ও ফিন-টেক সমাধান দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১০ মার্চ ) প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে তার অবস্থান স্থলের ভার্চুয়াল মিটিং রুম থেকে বাংলাদেশ ও আমিরাতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আয়োজিত এক যৌথ ব্যবসা পরিষদে (জেবিসি) বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য, বিশ্ব-বাজারের সাথে দেশের উৎপাদন উপকরনসমুহকে যুক্ত করা। বাংলাদেশ নগরায়ন, শিল্পায়ন এবং ব্যক্তির সাথে শাসন, উদ্ভাবন ও বাজার ব্যবস্থার মধ্যে ক্রমবর্ধমান টেলি-যোগাযোগে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:আত্মসমর্পণ করবে না ইউক্রেন
এছাড়াও বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বিশাল বাজার । দেশের জনগণ যুবক, উদ্যোমী ও উচ্চাভিলাষী। কৃষিতে তাঁর সরকারের ব্যাপক ও নানা ধরনের উদ্ভাবন, কৃষি-সম্প্রসারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রেমিটেন্সের কারণে বাংলাদেশের শ্রমাশ্রয়ী আয় অনেক দেশের তুলনায় দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:দেশে খাদ্য পণ্যের সংকট নেই
এসময় দুদেশের মধ্যে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য এফবিসিসিআই এবং ইউএই চেম্বার্স অব কমার্স এ্যন্ড ইন্ডাষ্ট্রির মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক সাক্ষরিত হয়। এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন এবং আবু ধাবি চেম্বার অব কমার্স এ্যন্ড ইন্ডাষ্ট্রির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ মোহামেদ আল মাজরাউই নিজ নিজ পক্ষে স্বারকে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন:মায়ের সঙ্গে কারাগারে ৭ মাসের শিশু
আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ইউএই’র বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জিওদি, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, আবুধাবী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ মোহামেদ আল মাজরাউই’ও বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:নো-ফ্লাই জোন ঘোষণায় দ্রুত যুদ্ধ শেষ হবে
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, একটি চমৎকার ভূ-কৌশলগত অবস্থান এবং সকল প্রধান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজ রুটের সাথে সরাসরি যুক্ত বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জনবহুল ও ক্রমবর্ধমান দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব-এশিয়া অঞ্চলের মিলনস্থলে রয়েছি। আমাদের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার তো রয়েছেই। পাশাপাশি আমাদের নিকটবর্তী অনেক দৃশ্যত সম্ভাবনাময় বাজার রয়েছে। যা আমাদেরকে বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই অঞ্চল ভবিষ্যতে পণ্য উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন:ভাসানচরে পৌঁছালো আরও ২৯৮৪ রোহিঙ্গা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নীতি হচ্ছে- ‘সকলের সাথে মিত্রতা, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই নীতিই আমাদেরকে মুক্ত-বাজার বাণিজ্য ও একটি স্বাধীন অর্থনীতির সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে আমাদের পৃথক করে রেখেছে।
আরও পড়ুন:ফের ক্ষমতায় যোগী আদিত্যনাথ
আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। আমরা চামড়া, পরিবেশ-বান্ধব পাট ও পাটজাত দ্রব্য, খাদ্য ও সবার উপর আইসিটি ও আইটিইএস (আইটি এনাবলড সার্ভিসেস)-এ ভাল ও দক্ষ।
আরও পড়ুন:চার পর্যটকের বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিদ্যমান থাকায় বিনিয়োগকারীরা খুব স্বাচ্ছন্দে দীর্ঘ-মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া ব্যবসায় বিদেশী মালিকানার জন্য কোন ধরনের সীমাবদ্ধতাও নেই। অধিকন্তু, বৈদেশিক মুদ্রার শক্তিশালী সঞ্চয় রয়েছে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তাদের দেশে নিয়ে যেতে কোন ধরনের বাধা নেই।
আরও পড়ুন:দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক
তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি, পরিচালক ও প্রশাসনিক সেবা প্রদানকারী এবং আইসিটি ডেভেলপাররা বিশ্বের যে কোন স্থানে আপনাদের সাথে হাত মেলাতে আমাদের শক্তি যোগাচ্ছে।
আরও পড়ুন:আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারিকালেও অর্থনীতি সচল ছিল- বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। স্পষ্ট দৃষ্টি, দূরদর্শী পরিকল্পনা, সুশাসন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আমাদের কঠোর-পরিশ্রমী জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও লড়াকু উদ্যোক্তাদের কারণে বাংলাদেশের এই টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজনীতির মাঠ গরমের অপচেষ্টায় লিপ্ত বিএনপি
তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। আমরা খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত করতে যাচ্ছি।
সান নিউজ/এইচএন