জাতীয়

অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি:

করোনার সময়ে বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে বেশি বিল করে ফেলা হয়েছে। এটা ভুল হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি। নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিস গেলেই বিল ঠিক করে দেবে। গ্রাহকের কোনো ভয় নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না।’

বুধবার (২৪ জুন) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিদ্যুৎ খাতের বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। এর আগে অবশ্য কয়েকজন বক্তা এই বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেন।

সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান এই সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎ খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এতে সাবেক ও বর্তমান আমলা, অর্থনীতিবিদসহ বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিষয়ক তিনটি প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অনুসারে বিদ্যুতের চাহিদার কোনো প্রাক্কলন আছে কি না? ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বাদ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে ব্যবসায়িক চাহিদার কোনো সমন্বয় আছে কি?

এসব বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আর রাখতে চাই না। গত বছর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অবসরে পাঠানো হবে। বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি অর্থায়ন আনতে ‘বিদ্যুৎ বন্ড’ ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।'

সিপিডির মূল প্রবন্ধে বলা হয়, করোনা সংকটের সময় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় অধিক উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়টি উঠে এসেছে। খরচ সাশ্রয়ে এই অতিরিক্ত সক্ষমতা থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করা দরকার। ভবিষ্যতে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগতে পারে, সেটা বিবেচনায় এনে বিদ্যুতের চাহিদা একটি পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।

এই বিষয়ে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতিরিক্ত সমক্ষমতা অনেক পরিকল্পনা করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত সক্ষমতা খরচও বাড়ায়। তাই এর ব্যবস্থাপনা ঠিক করা দরকার। তা না হলে বাড়তি খরচ শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর চাপে।

তিনটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এর বাইরে নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনায় না যাওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বুয়েটের অধ্যাপক ম তামিম। এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের কী ক্ষতি করছে, তা নিয়ে একটি স্বাধীন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। সরকার এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল আছে। প্রয়োজনে পর্যালোচনা করা যেতে পারে।

সাবেক বিদ্যুৎসচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, সারা দুনিয়া ভাড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরে আসছে।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সালমান শাহ’র জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর...

দেশে তাপপ্রবাহের আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের তিন বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে...

বিদ্যুৎপৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সেচ দিয়ে বন্যার পান...

মা হচ্ছেন সানা সৈয়দ

বিনোদন ডেস্ক: বিয়ের ৩ বছর পর মা হতে চলেছেন ‘কুণ্ডলী ভা...

মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না

নোয়াখালী প্রতিনিধি : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উ...

রিমান্ডে ডিসি মশিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর নিউমার্কে...

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, নিহত ২৮৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ২৮৫ জনের প...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটার...

অনেক সচিব নাশকতার চেষ্টা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনা সরকারের দোসর অনেক সচিব এখনো বি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা