সান নিউজ ডেস্ক : স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারী জগরণের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি, অভিভাবকদের সচেতনতা এবং সকল ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার দিনদিন বাড়ছে। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা– সব জায়গাতে পুরুষের তুলনায় নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও নারীদের অংশগ্রহণ এখানেও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন:রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, আটক ৪৫০০
বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে নারী। তবে এই এগিয়ে চলার পথে বৈষম্যগুলো এখনো বিদ্যমান, তা ভাঙতে রাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার নেই! নেই একটি অভিন্ন পারিবারিক আইন।
নারী যোগ্যতার সঙ্গে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। তবুও তাকে ঘরে ফিরতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। ধর্ষণের শিকার হতে হয়! এসব অসংখ্য অসংগতির সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে রাষ্ট্রকে। নারীকে সবার আগে মানুষ ভাবতে হবে। মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই কেবল নারীর অর্জন টেকসই হবে।
আজ ৮ মার্চ, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও পালিত হচ্ছে । এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য—‘টেকসই আগামীর জন্য; জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। টেলিভিশন, রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইমন
আমাদের দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের তালিকায় রয়েছে—দলিত, হরিজন, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর নারীরা। এসব নারীকে এগিয়ে নিতে না পারলে মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের টেকসই উন্নয়ন। আগ্রাসন কিংবা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার ভয় নারীর জীবনকে সীমাবদ্ধ করে তোলে। তাই সমাজের প্রতিটি জায়গা, প্রতিটি স্তর করতে হবে সব মানুষের জন্য নিরাপদ।
আরও পড়ুন:আমি বিরক্ত ও বিব্রত!
প্রসঙ্গত, কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন:কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টিকার প্রস্তুতি চলছে
কর্মসূচি: দিবসটি উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ সকাল ১১টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জন জয়িতাকে সম্মাননা জানাবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন:ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পাক্ষিক ‘অনন্যা’।
আরও পড়ুন:সুচরিতা আমার মায়ের মতো
দেশের ৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফরম ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’ বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল ১১টায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন:পাইলটের দক্ষতায় বেঁচে গেছি
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন:এই বুঝি বাবা এসে দরজায় কড়া নাড়বেন
দুই দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে নেক্সাস টেলিভিশন । রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির ছাদে সকাল ১১টায় মেলার উদ্বোধন করবেন পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
সান নিউজ/এইচএন