নিজস্ব প্রতিবেদক : শিমুলিয়া-বাংলা বাজার নৌ রুটে ফেরি সংকট থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলা সহস্রাধিক যাতায়াতকারী যাত্রী।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ এক মহামন্ত্র: রাষ্ট্রপতি
জানা গেছে,বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌ-রুটে মাত্র পাঁচটি ফেরি দিয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সার্ভিস চালু রাখায় প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে আগত শত শত গাড়ি পদ্মা পার হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে। দূরবর্তী জেলা থেকে আসা ছোট-বড় যানবাহনগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে অপেক্ষা করে বিকেলে যখন ফেরিতে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন বিকল্প নৌ-রুটে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। রাতে ঘাটের টার্মিনালে থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
পদ্মায় নেই স্রোতের তীব্রতা, নাব্যতা সঙ্কট বা দিনভর কুয়াশার দৌরাত্ম- এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলেও ফেরি চলাচলের সঙ্কট ঠিকই রয়ে গেছে এ নৌরুটে। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি এ রুট ব্যবহারকারীদের। যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা বলেন, এ ফেরিঘাটের দুর্ভোগের কোনো সংজ্ঞা নেই। সাধারণ যাত্রীদের কোনো মর্যাদা বা গুরুত্ব ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। তবে দুর্ভোগ সয়ে গেছে গায়ে। এখন শুধু পদ্মাসেতু চালুর অপেক্ষায় আছি।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ নৌরুটে পাঁচটি ফেরি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলাচল করছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতার কারণে পদ্মাসেতুর সাথে ফেরির ধাক্কা লাগার পর থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে সঙ্কট শুরু হয়। ছোট ছোট পাঁচটি ফেরি দিয়ে চলছে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পণ্য পরিবহন, যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবসহ নানা কারণে চাহিদা থাকলেও বাড়ানো হয়নি ফেরির সংখ্যা।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ নৌরুটে পাঁচটি ফেরি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলাচল করছে। গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতার কারণে পদ্মাসেতুর সাথে ফেরির ধাক্কা লাগার পর থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে সঙ্কট শুরু হয়। ছোট ছোট পাঁচটি ফেরি দিয়ে চলছে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পণ্য পরিবহন, যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবসহ নানা কারণে চাহিদা থাকলেও বাড়ানো হয়নি ফেরির সংখ্যা।
আরও পড়ুন: আজ বাঙালির জীবনে অবিস্মরণীয় দিন
যশোর এর ট্রাক চালক আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাবাজার ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। অথচ ঘাটেই বড় বড় ফেরি নোঙর করে রাখা আছে। আশা করবো, শীঘ্রই ফেরির সংখ্যা বাড়বে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন অস্ত্র না ফেললে অভিযান চলবে
এ বিষয়ে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস ড্রাইভার আঃ মজিদ মিয়া জানান, এখন নদীতে স্রোত নাই। পুরো নৌপথ স্বাভাবিক। তারপরও মাত্র ৪টি ফেরি চলছে। ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে আমাদের ভোগান্তি কমবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মৃত্যু
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো: সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলাবাজার রুটে রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকছে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই ফেরি বাড়ানো হয়নি।‘
সান নিউজ/ এইচএন