সান নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ঢাকায় এসেছেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আবারও বেড়েছে মৃত্যু
মঙ্গলবার (১ মার্চ) তিনি ঢাকায় পৌঁছেন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।
মার্কিন দূতাবাসের টুইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ ঢাকায় পৌঁছেছেন। তিনি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ব্যবসায় বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রীতি অনুযায়ী নতুন রাষ্ট্রদূত শিগগিরই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন রাষ্ট্রদূত যেহেতু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাণিজ্য নীতি উপদেষ্টার কাজ করেছেন সেহেতু আশা করা হচ্ছে, তিনি ঢাকা ও ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ইস্যুতে গুরুত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: বেলারুশকে আমেরিকার হুঁশিয়ারি
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক পিটার হাসকে মনোনয়ন দেন। পিটার হাস গত বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি পররাষ্ট্র দফতরের বাণিজ্য নীতি ও আলোচনা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা/ ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ফ্রান্সের প্যারিসে অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) যুক্তরাষ্ট্র মিশনে স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি ছিলেন। পিটার হাস তার কর্মজীবনে ভারতের মুম্বাইয়ে মার্কিন কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল ছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তরের পাঁচটি ভৌগলিক ব্যুরোতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক পরিচয়ে একাধিক বিয়ে!
মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী- পিটার ডি হাস ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালে তিনি ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও জার্মানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে তিনি একজন মার্শাল স্কলার হিসাবে যোগদান করেন। যেখানে তিনি বিশ্ব অর্থনীতি এবং তুলনামূলক সরকার উভয় ক্ষেত্রেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক পারফরম্যান্স পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- জেমস ক্লিমেন্ট ডান অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ও কর্ডেল হুল অ্যাওয়ার্ড ফর ইকোনমিক অ্যাচিভমেন্ট। ইংরেজি ছাড়াও জার্মান ও ফরাসি ভাষায় তিনি সাবলীল।
সান নিউজ/এমকেএইচ