নিজস্ব প্রতিবেদক: ৭০ বছর আগে আজকের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলার বীর সন্তানরা নেমেছিল রাজপথে। বুকের তাজা রক্তে রাঙিয়ে দিয়েছিলেন রাজপথ। আজ বাংলার সেই বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। গতবারের মতো এবারও করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশরীরে শহিদ মিনারে যাননি।
এদিকে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাজনৈতিক দল, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এরপর সর্বস্তরের মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষের সারি পলাশী মোড় ছাড়িয়ে নিউমার্কেট এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
কারো হাতে ফুল, কারো হাতে ছোট পতাকা। তবে সবার মুখে ছিল অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি।’ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মাইকে সেই সুর ছড়িয়ে পড়ছিল দিকে দিকে। মানুষের এই শ্রদ্ধা বলে দেয়, মাতৃভাষা আর দেশের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের টান অকৃত্রিম।
আরও পড়ুন: সবাইকে ভাষা-সংস্কৃতি রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে
এদিকে করোনা পরিস্থিতির জন্য ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহিদ মিনারে আসা নাগরিকদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে যাওয়া সবার করোনা টিকা গ্রহণের সনদ সঙ্গে রাখার নির্দেশনাও ছিল। সামাজিক দূরত্ব মেনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সুযোগ পান।
সাননিউজ/এমএসএ