নিজস্ব প্রতিবেদক: আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার বিদায় নেবে নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে আত্মমূল্যায়ন জানাবেন কে এম নুরুল হুদা।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে যোগ দিয়ে কে এম নুরুল হুদা নিজের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জ তো একটাই।’
সে সময় তিনি বলেছিলেন, দেশবাসীকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার ও সাংবিধানিক দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করবো। কারো প্রভাবে প্রভাবিত হব না। আর শুধু বিএনপি একা নয়, ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলকে আস্থায় আনতে কাজ করবো।
এদিকে হুদা কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা। এ জন্য তিনি নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল, সুধীসমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নারী নেত্রী ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রায় তিন মাসব্যাপী সংলাপের আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি
অপরদিকে এ কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে পেরেছে দাবি করলেও ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ওই নির্বাচনপ্রক্রিয়া পর্যালোচনা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলে, ‘সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ বলা গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলা যায় না।’
সাননিউজ/এমএসএ