নিজস্ব প্রতিবেদক: কেরানীগঞ্জের আগানগর বাঁশপট্টি এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিমকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ (ফাঁসি) দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদপ্রাপ্ত চারজন হলেন- আবদুল বাতেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম, পলক রহমান ওরফে ডেঞ্জার সাগর ও পাপ্পু।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাইজুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম দস্তগীর গণমাধ্যমকে জানান, আসামিদের মধ্যে আবদুল বাতেন ও পলক কারাবন্দি আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি আলম ও পাপ্পু পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আগানগর বাঁশপট্টি এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের তদন্তে লাশের পরিচয় ও হত্যার কারণ বেরিয়ে আসে।
আসামিদের দুজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশকে তারা জানায়, বাঁশ ব্যবসায়ী আলমকে ক্লাব থেকে বের করে দেন ওয়াসিম। এর জের ধরে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে বাতেনকে ভাড়া করেন ওয়াসিমকে হত্যার জন্য।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল পলক ও এক কিশোর বাঁশপট্টির একটি কারখানায় বসেন। ওই সময় বাতেন ও পাপ্পু বাবুবাজার ব্রিজের ওপর থেকে ওয়াসিমকে ডেকে ওই কারখানায় নিয়ে যান। সেখানে ওয়াসিমকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অনশন
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালে পাঁচজনকে আসামি করে দুটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর মধ্যে এক মামলায় বাতেন, পলক, আলম ও পাপ্পুকে আসামি করা হয়। আর পঞ্চম আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আইনে আলাদাভাবে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৪ জানুয়ারি ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অপর মামলাটি শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে