আদালত প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে আজ। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
এদিকে মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে শেষ হয়েছে এ মামলার বিচারিক কাজ। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ৩৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে। এর আগে হত্যা বা ফৌজদারি কোনো মামলায় এত বিপুল সংখ্যক সাক্ষী নেওয়ার নজির নেই। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে চার্জগঠন, শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনেরও নজির নেই।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই পুরো আদালত পাড়া কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ডেকে দেওয়া হয়েছে। আদালত পাড়ার চারপাশ ও পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে যেন কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে পুলিশের সর্ব্বোচ্চ নজর রয়েছে। আদালতে নিরাপত্তার স্বার্থে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক শৃংখলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম এত দ্রুত কোনো হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে। এ মামলায় ৮৩ সাক্ষির মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর আগে হত্যা কিংবা ফৌজদারি কোনো মামলায় এত বিপুল সাক্ষী নেওয়ার নজির নেই।
আরও পড়ুন: মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায় আজ
তিনি বলেন, মাত্র ৩৩ কার্য দিবসের মধ্যে আমরা এ মামলার সকল বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে পেরেছি। তেমনি সক্ষম হয়েছি সিনহা হত্যার বিষয়টি প্রমাণে। আমারা আশা করছি সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন প্রদীপ ও অভিযুক্তরা।
সাননিউজ/এমএসএ