সাননিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে। দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় ১৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আট কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে ১ম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে ২য় ডোজসহ মোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে করোনার টিকা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে মোদীকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের মতো দেশের করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারও চলমান করোনা টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইম্যুনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, বাংলাদেশের সুপারিশ অনুযায়ী এবং করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির অনুমোদনক্রমে দেশব্যাপী গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ গ্রহণের পর যাদের ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরই বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদেরও এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে।
সাননিউজ/জেএস