নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে ডিএনসিসি এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, খালটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যা থাকার কথা বাস্তবে তার কিছুই নেই, অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্বই বিলীন করে দেয়া হয়েছে। তাই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট খালটিকে উদ্ধার করে বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত করা হবে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। নগরীকে জলজট এবং জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে হলে যেকোন মূল্যে খালগুলো উদ্ধার করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
মো. আতিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতেই ১টি ভবনের সম্পূর্ণ, ৩টি ভবনের আংশিক ভেঙ্গে ফেলা হয়। এছাড়াও ১টি কাঁচা বাজারের অবকাঠামো এবং টিনের ছাপড়ায় নির্মিত ৪০টিরও অধিক টং দোকান ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযান চলাকালে ডিএনসিসি মেয়র বসিলাতেই তার ভ্রাম্যমাণ অফিসে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য দাফতরিক কাজ সম্পাদন করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিকট খালগুলো হস্তান্তরের পূর্বে দায়িত্বে থাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণেই খালগুলো দখল ও দূষণে বিপর্যস্ত অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক এবং স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ