নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মিলারের তার স্থলাভিষিক্ত হতে আসছেন নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন মিলার। এর আগে আগে আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছিলেন মিলার। তিনি সে সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হন।
মিলার বতসোয়ানায় দায়িত্ব পালনের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের মার্কিন কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো, মিয়ামি ও বোস্টনে কাজ করেছেন। ভারত, ইরাক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও এল সালভেদরের মার্কিন দূতাবাসে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মিলার।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক পিটার হাসকে মনোনয়ন দেন। পিটার হাস গত বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক ব্যুরোর প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে তিনি পররাষ্ট্র দফতরের বাণিজ্য নীতি ও আলোচনা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা/ ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ফ্রান্সের প্যারিসে অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) যুক্তরাষ্ট্র মিশনে স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি ছিলেন। পিটার হাস তার কর্মজীবনে ভারতের মুম্বাইয়ে মার্কিন কনস্যুলেটে কনসাল জেনারেল ছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তরের পাঁচটি ভৌগলিক ব্যুরোতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী- পিটার ডি হাস ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ১৯৮৮ সালে তিনি ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ও জার্মানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে তিনি একজন মার্শাল স্কলার হিসাবে যোগদান করেন। যেখানে তিনি বিশ্ব অর্থনীতি এবং তুলনামূলক সরকার উভয় ক্ষেত্রেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পররাষ্ট্র দপ্তরের একাধিক পারফরম্যান্স পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- জেমস ক্লিমেন্ট ডান অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ও কর্ডেল হুল অ্যাওয়ার্ড ফর ইকোনমিক অ্যাচিভমেন্ট। ইংরেজি ছাড়াও জার্মান ও ফরাসি ভাষায় তিনি সাবলীল।
সান নিউজ/এমকেএইচ