নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর শ্যামলীতে আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে অবহেলায় মৃত শিশু আহমদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
জানা গেছে, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মোঃ টিপু সুলতান। এর আগে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম। তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এছাড়া মৃত আহমদের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ভিসারা, হার্ড, লাং সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।
মৃতদেহ নেয়ার জন্য আসেন শিশু আহমদের মামা মেহেদী হাসান। তিনি অভিযোগ করেন, আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে মালিক গোলাম সারোয়ার ও পরিচালক সোয়েব খানসহ ২/৩ জন শিশু দু’টির প্রতি অবহেলা করেছেন। যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আহমদের অবহেলায় মৃত্যু বিচার দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, আহমদের মরদেহটি সাভার ভাটপাড়ায় দাফন করা হবে। শিশুটির মা ফাতেমা বেগম ও আহাদের জমজ সহোদর আব্দুল্লাহর অবস্থাও ভালো না। তিনি সকলের কাছে তাদের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২ জানুয়ারি) সাভার থেকে অসুস্থ যমজ শিশুকে নিয়ে শ্যামলীর একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এক নারী। পরে দালালরা তাকে সেখান থেকে ভাগিয়ে বেসরকারি এই হাসপাতালে (আমার বাংলাদেশ) ভর্তি করান। দুইদিনে তার বিল করা হয় লাখ টাকা। ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর আর বিল দিতে পারবেন না জানালে তাকে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে যমজ শিশুদের একজন আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আরেক শিশু আব্দুল্লাহকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে হাসপাতালের বাইরে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই নারী ঢাকা মেডিকেলে যান। সেখানে তিনি মৃত শিশুকে এক কোলে এবং অসুস্থ এক শিশুকে আরেক কোলে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও র্যাবের গোয়েন্দাদের নজরে আসে। এরপর আজ শ্যামলীর ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মালিক গোলাম সারওয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ