নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠি নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ মোঃ রাসেল শেখ (৩৮) নামের আরও একজন মারা গেছেন। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে বারোটায় আইসিইউতে ১২ নং বিছানায় লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন মারা যান তিনি।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর দগ্ধ রাসেল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হন। তিনি খুলনা জেলার সদর উপজেলার শিববাড়ি গ্রামের মৃত গাফফার শেখের ছেলে। তবে রাসেল রাজধানীর সবুজবাগের মাদারটেক এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন। তিনি জানান, রাসেলের শরীরের ২৮ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিলো।
জানা গেছে, আগুনে রাসেলের দুই সন্তান জীবন (১৪) ও ইমন (৯) লঞ্চেই মারা গিয়েছিল। এছাড়া তার শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম (৬০) এবং শ্যালকের স্ত্রী রুমা (২০) ও রুমার মেয়ে অহনা (৩) আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। বর্তমানে রাসেলের স্ত্রী পুতুল এবং পুতুলের বড় ভাই কালু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত রাসেলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ময়না জানান, রাসেল ভাই একটি রুটির দোকানের ভ্যান গাড়ি চালাতেন। তিনি ঢাকা থেকে বেড়াতে পরিবারসহ ঝালকাঠিতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের পরিবার এলোমেলো হয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণের পর পুরো লঞ্চে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চটি ভাসতে ভাসতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি এলাকার সুগন্ধা নদীর তীরে আটকে যায়। অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ