নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ মোঃ তামিম হাসান (৮) নামে এক শিশু আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন মারা গেছেন। রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন। তিনি জানান, তামিমের শরীরের ৩০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল।
মৃত তামিম বরগুনা জেলার সদর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় তার মা জেসমিন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় দগ্ধ জেসমিনের মেয়ে মাহিনুর আক্তার (৭) হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন।
এর আগে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধরা হলেন, জেসমিন বেগম (২৮) ও তার ছেলে মোঃ তামিম হোসেন (১১)। সে স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ মাহিনুর আক্তার (৭) হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। তার মৃতদেহ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তরপাড়ায় নানির বাড়িতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মৃত শিশুটির মামা মোহাম্মদ মামুন মিয়া।
তিনি আরও বলেন গত ১২ দিন আগে জেসমিনের নানী জয়তুননেছা শারীরিক অসুস্থতায় মারা যাওয়াতে বরগুনা সদর থেকে তারা কেরানীগঞ্জে আসছিলেন। বিকেলে কেরানীগঞ্জ থেকে বরগুনায় যাওয়ার সময় রাতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন জানান, দগ্ধ জেসমিন বেগমের শরীরে ১২ শতাংশ ও তার ছেলে মোঃ তামিমের শরীরে ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণের পর পুরো লঞ্চে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চটি ভাসতে ভাসতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি এলাকার সুগন্ধা নদীর তীরে আটকে যায়। অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ