নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মন্ত্রীরা, সচিবরা, ডিজিরা এমন অন্যান্য শ্রেণির যারা আমরা কাজ করি সবাই ঢাকাতে। এটার মন্দভালো বলার ক্ষমতা আমার নেই, বলাও উচিত না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই ইনোভেটিভ পার্সন তিনি এটা ভাঙতে চান। তবে কারোর একার পক্ষে এটা সম্ভব না। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) নগরীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম কানফারেন্স হলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. এম এ রশীদ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সবকিছু রাজধানী ঢাকাতে। যার ফলে ঢাকায় অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ঢাকায় আসতে চায়। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের টিচার সেও ঢাকার ডিজি অফিসে আসতে চায়। বদলি প্রমোশন বেতন বাড়ানো নানা কাজে ঢাকায় আসতে হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যকর্মী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, ডিজি ভূমি, অনেক কিছুই ঢাকায়। ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত করে আমরা ঢাকায় বসে আছি। ঢাকায় চাপ বাড়ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, প্রতি মঙ্গলবার আমরা একনেক সভায় বসি। সভায় অনেকগুলো গেম চেঞ্জিং প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক অপচয় হচ্ছে দুর্নীতিও হচ্ছে এটা বলে লাভ নেই। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের একটা সূর্যদয় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৫ বছর দেশের উন্নয়ন কাজ করছি। দেশের মানুষের সুখ শান্তি দেখা তার শান্তি। সময় এখন আমাদের । আমরা স্বাধীনতার স্বাদভোগ করছি। সঠিক সময়ে আল্লাহ আমাদের বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমাদের শেষ করে গেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, সব থেকে অপরাধবোধ তাকে আমরা হত্যা করেছি এ অপরাধ বোধ সবসময় বয়ে বেড়াতে হবে। দেশে আমাদের সম্পদ বেড়েছে। কোন দল করি এটা বড় বিষয় না দেশ তো একটাই। দেশের উন্নয়নে আমাদের একটা ইউনিটি দরকার। এই দেশের মাটির স্বাধীনতায় ও জাতির পরিচয়ে আওয়ামী লীগ জড়িত। দলের একজন হতে পেরে আমি গর্বিত।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাইমারি স্কুল দেখি। এগুলোও উন্নত হচ্ছে। আমার মা ও চাচীরা এই সুযোগ-সুবিধা পায়নি। তবে এখন গ্রামের মায়েরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা গ্রামের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন করতে কাজ করছি। সেজন্য প্রয়োজনীয় কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে গ্রামে স্কুল তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে, মায়ের নামে বাবার নামে স্কুল করার জন্য আমার কাছে আসে । সবাই বলে এমপি সাহেব স্কুল করতে চায়। এতে বোঝা যায় এটা ব্যবসায়ীক দিক নয়। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। কিন্তু আজীবন এটাকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, হাই স্কুল, কলেজ, সেকেন্ডারি স্কুলগুলা বেতন ভাতা দিয়ে চলে। কয়েক হাজার পেন্ডিং আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। আমারও কিছু আবেদন আছে। সবকিছুই গ্রামীণ উন্নয়নও হচ্ছে। সরকার গ্রামের উন্নয়নে নজর দিচ্ছে। গ্রামকে শহরে রূপ দিতে নানা পরিকল্পনা চলমান।
সান নিউজ/এমকেএইচ