মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতীয় প্রকাশিত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:০৮
সর্বশেষ আপডেট ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৪৯

ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন-রফতানি আগামীর লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‌‌‌‌‘এখন আমরা যেমন মনে করি গার্মেন্টস থেকে সবথেকে বেশি রফতানি আয় হয়। কিন্তু সেখানে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। সেটা হলো আমাদের ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রফতানি। সেখানে আমাদের মেধাবী সন্তানদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। আমি মনে করি ডিজিটাল ডিভাইস রফতানি সব খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। যদি এটা আমরা করতে পারি। তার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এ রফতানি ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে’।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১’ উদযাপন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে প্রায় সব দেশের নেতৃত্ব দেবে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে কর্মরতরা। আর বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেই উন্নত দেশ গড়ার সৈনিকরা প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শিশুরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পুরস্কার অর্জনে নিজের খুশির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ যে উন্নত, সমৃদ্ধ হবে, সেটা কাদের দিয়ে হবে। আজকে এই পুরস্কার দেওয়ার মধ্য থেকে, নতুন প্রজন্ম যে পুরস্কার পেল, তাদের যে মেধা বিকাশের সুযোগ পেল, তাতে আমার এখন আর কোনো দুশ্চিন্তা নেই। আমি আজ থেকে বলতে পারি যে, আমাদের দেশটা প্রযুক্তি শিক্ষায়, জ্ঞান ভিত্তিক যে সমাজ গড়তে চাই সেটা করার পথে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে। এটাই সবথেকে বড় কথা।

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই তাদের কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা বিদেশে বসবাস করছে তাদের রেখে যাওয়া বাড়িঘর দেখতে পাচ্ছেন। কিছুদিন আগে একটা ঘটনা ঘটেছে ধানমন্ডির একটা বাড়িতে চুরি হলো। বাড়ির মালিক লন্ডনে থাকে। সেখানে বসে সে দেখল। তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ধানমন্ডি থানার ওসির কাছে পাঠিয়েছে। আমাদের সিটি এসবি সেটা দেখে চোর ধরে ফেলেছে। এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের শুভফল।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা ছিল নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ঘরে বসে ছেলেমেয়েরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। সেটা দিয়ে নিজেদের যেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা আনবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সৈনিক আমাদের তৈরি হচ্ছে। সেজন্য আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে সরকারের দেওয়া সুবিধা কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া তাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল সেবার কথা তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, কেউ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। আমাদের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ১০৯টি পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল টকিং বুক তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা নতুন সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার সবাইকে সেবা দিতে চেয়েছিলাম। সেটা দিতে পারছি। বাংলাদেশ সেই জায়গায় পৌঁছে গেছে। সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে গ্রামের তৃণমূল পর্যন্ত সেই সেবাটা পৌঁছে গেছে। আজকে বাংলাদেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ আমরা মানুষকে দিয়ে দিয়েছি। ফলে আরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ব্রডব্যান্ড পৌঁছে গেছে।

দেশে ১৮ কোটি ১৩ লাখ সিম ব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। ১৬ বা ১৭ কোটি মানুষের দেশে যদি ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে প্রায় সবার ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সার্ভিসটা আছে। সেই সুযোগটা সবাই পাচ্ছেন।

দেশের প্রযুক্তি উন্নয়নের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সে স্কুল জীবন থেকে কম্পিউটার শিখত। ঢাকায় এসে আমাকেও শেখাত। যখন হোস্টেল থেকে কম্পিউটারটা সঙ্গে করেই নিয়েই আসত, সেই ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারের মাধ্যমেই আমার হাতেখড়ি। তারই পরামর্শ ছিল আমাদের দেশের মানুষকে কম্পিউটার শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য খরচ কমাতে হবে। ট্যাক্স কমাতে হবে। সবকিছু করতে হবে।

১৯৯৬ সালের সরকার গঠনের পরে সব ফাইল কম্পিউটারে টাইপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী স্লোগান ছিল দেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই ঘোষণাটা দেওয়া পরে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। এটা ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশকে উন্নত করব। তার জন্য আমরা যদি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির না করি। তাহলে কীভাবে এগিয়ে যাব? তাই আমাদের রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখে কাজ করেছিলাম বলেই আজকে আমরা উন্নয়নটা করতে পেরেছি। কম্পিউটার শেখানোর জন্য আমরা গাড়িতে করে স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শেখানোর ব্যবস্থা নিন। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টিই ছিল আমাদের লক্ষ্য। কারণ বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে। এটা হতে পারে না।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

সান নিউজ/এনএএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানালো মুক্তিজোট

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জ...

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে হরতাল অবরোধ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ...

মিয়ানমারের দূতসহ ঢাকায় আসছেন মার্কিন ২ কর্মকর্তা

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসছেন মার্কিন প্রশাসন...

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিল বাটা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা