নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার ১৩ জুন পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন নির্ভীক যোদ্ধা। তিনি জনগণের প্রিয় নেতা ছিলেন বলেই পাঁচবার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তার মৃত্যু বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মোহাম্মদ নাসিমের নাম চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম গণতন্ত্র, দেশ, দল, জনগণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে যে অবদান রেখেছেন জাতি তা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিককে হারালো।
রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সব ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারালো। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
গত ১ জুন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মোহাম্মদ নাসিমের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লেও তা থেকে সেরে উঠেছিলেন তিনি। তবে করোনার চিকিৎসা নেওয়ার মাঝেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন নাসিম। পরে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়।
করোনা থেকে সেরে উঠলেও মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ডিপ কোমায় ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ডিপ কোমায় থাকা অবস্থাতেই চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার মারা যান তিনি।
সান নিউজ/সালি