সান নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলেন একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তিনি তাদের অন্যতম। এই বীর সন্তানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিবিকী আজ।
রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আজহার পাটোয়ারী ও মা জুলেখা খাতুন। ১৯৪৯ সালে এসএসসি পাস করেই পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নৌবাহিনীর চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরে আসেন। পরে তরুণদের নিয়ে দল গঠন করেন এবং ওই বছর মে মাসে পাঁচশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণকে নিয়ে মেজর কে এম শফিউল্লাহর অধীনে যুদ্ধে যোগ দেন তিনি। পরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ পলাশ ও পদ্মার স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসা নদীতে পলাশের ইঞ্জিন রুমের দায়িত্ব পালনের সময় পাকিস্তানি সেনাদের বোমায় শহীদ হন রুহুল আমিন।
পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণ বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর পাড়ে রুহুল আমিনকে দাফন করেন এবং সেখান একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সাতজন বীর সন্তানকে মরণোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। রুহুল আমিন সেই সাতজনের অন্যতম।
মরনোত্তর বিভিন্ন সময়ে নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে। তাঁর নামে রো রো ফেরির নামকরণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। তাঁর জন্মস্থান নোয়াখালীর বাগপাদুরা গ্রামের নাম পরিবর্তন করে এখন রাখা হয়েছে আমিননগর। বাড়ির সম্মুখে ২০ শতাংশ জমিতে সরকারের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার। চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন নামে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে