নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মুগদায় আগুনের ঘটনায় দগ্ধ সেফালী (৫৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ছিল। এ নিয়ে দগ্ধ চারজনের মধ্যে চারজনই মারা গেছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে নয়টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত সেফালী শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার চাকৈর গ্রামের তপন বাড়ই এর স্ত্রী। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া।
এর আগে, সোমবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিশু উরফ চন্দ্র বৌদ্ধ (৫)। পরে রাত তিনটায় মারা যান প্রিয়াংকা রানী বৌদ্ধ (৩২)। এছাড়া শনিবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুধাংশু বৌদ্ধ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মুগদা ৩৭/৩৭, মাতব্বরগলি, সাজুর ৫তলা বাড়ির নীচতলার ভাড়া বাসাযর রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণে পুরো বাসায় আগুন ধরে যায়। এতে চারজন দগ্ধ হন। তাদের তিনজন একই পরিবারের সদস্য। নিহত সুধাংশু-প্রিয়াংকা স্ত্রী, আর উরফ তাদের সন্তান। অন্যদিকে নিহত সেফালী ছিলেন শিশু উরফের নানি। তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, প্রিয়াংকার শরীরের ৭২ শতাংশ ও তার ছেলে উরফ চন্দ্র বৌদ্ধের শরীরে ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। স্বামী সুধাংশু বৌদ্ধর (৩৬) ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
সান নিউজ/এমকেএইচ