নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁতী, জেলে, কামার, কুমার, মুচি ইত্যাদি পেশা-কেন্দ্রিক গুচ্ছগ্রাম স্থাপন তথা স্থানীয় লক্ষ্যভিত্তিক করে গুচ্ছগ্রাম বাস্তবায়নের সক্ষমতা যাচাই করছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রীকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে প্রাথমিক পর্যালোচনাভিত্তিক তথ্য প্রদান করেন। ভূমিমন্ত্রী এই ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত কপ২৬-এর সিভিএফ-কমনওয়েলথ প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের সংগঠন ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম’-এর সভাপতি শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে জোর দিয়েছিলেন।
এর আলোকে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প অধিকতর স্থানীয় লক্ষ্যভিত্তিক করে বাস্তবায়নের সক্ষমতা যাচাই করার জন্য ভূমি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা গেলে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ গৃহায়ন কর্মসূচির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয় জলবায়ুসংশ্লিষ্ট গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এককভাবে বাস্তবায়ন করছে। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটির গোড়াপত্তন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ভূমি সংস্কারক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জলবায়ুদুর্গত ভূমিহীন, গৃহহীন, ঠিকানাহীন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং দরিদ্র মানুষকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে দেশের মূল উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করাই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের উদ্দেশ্যে।
সভায় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) প্রদীপ কুমার দাসসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এনএএম