নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া বিচারপতি নিয়োগেও আইন হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রোববার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন আনা হচ্ছে শিগগিরই। জাতীয় সংসদের আগামী দুটি অধিবেশনের মধ্যেই এটি বিল আকারে আনা হবে। তবে এবারের কমিশন এই আইনের অধীনে হবে না।
এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য প্রদানের সময় বিএনপির হারুনুর রশিদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলেন। চুন্নু এই আইনের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগেও আইন করার দাবি জানান।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারক নিয়োগ এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের দুটি আইনেরই খসড়া করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিনিধিরা আইনমন্ত্রীকে (নির্বাচন কমিশন গঠনে) একটি আইনের খসড়া দিয়েছেন। তারা বলেছিলেন, এতে সবই আছে। এটি অধ্যাদেশ আকারে করে দিলে হয়ে যায়।
মন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কার বলেছি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত আইনটি করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধ হয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি, বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, এটি সংসদে আলোচিত হওয়া উচিত। আমার পরিকল্পনা এর (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করবো। কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়া করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি। প্র্যাক্টিক্যাল স্পিকিং অ্যান্ড স্পিকিং দ্য ট্রুথ ইজ দ্য রাইট থিং। সেজন্য আমি সুজন প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করিনি। তবে দুটোই আমরা করার চেষ্টা করছি।
সান নিউজ/এস