নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্য সংগঠনগুলো অ্যাডভোকেসির কাজ করছে। আমাদের এই সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। টেকসই অর্থনীতির জন্য আমাদের নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মধ্যে অ্যাগ্রো প্রসেসিং শিল্প এবং গ্রামীণ ফাইন্যান্সিংয়ের দিকে যেতে হবে। আগামীতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
রোববার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এফটিএসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মধ্যম আয়ের ফাঁদমুক্ত হতে আমরা নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ অর্থনীতি প্রসার লাভ করেছে। সেইসঙ্গে দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যাও বাড়ছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির ও এইচএসবিসির বাংলাদেশের সিইও মাহবুবউর রহমান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, পোশাক খাত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে জাপান, চীন, ভারতে প্রচুর রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে হবে। সেই সঙ্গে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিডা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডুয়িং বিজনেস পরিবেশ উন্নয়নে কাজ চলছে। বিশ্বব্যাংক এই নির্দেশক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ করলেও বাংলাদেশ নিজের উদ্যোগে পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে চলছে। ওয়ান স্টপ সাভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইটো নাওকি, নেদাল্যান্ডসের সহকারী মিশন প্রধান পাউলা রোজ স্কিনডিলার, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাংক কেনু ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
সান নিউজ/এনএএম