জাতীয়

সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ দুদক উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিবেদক: সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দনের বিরুদ্ধে। স্বয়ং দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশের সিকিউরিটি সেলে তার বিরুদ্ধে এসেছে অর্থপাচার থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। পুলিশ থেকে প্রেষণে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছেন তিন বছরের জন্য। এরপর পেরিয়েছে ৫ বছর। তবুও উচ্চমহলের তদবিরে স্বপদে বহাল রয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যার কাজ তিনিই করে চলেছেন সীমাহীন দুর্নীতি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে প্রেষণে দুদকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয় চন্দনকে। এরপর ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান তিনি। পুলিশে পদোন্নতি পাওয়ার পরই দুর্নীতি দমন কমিশনে উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। অথচ দুদক চাকরি বিধিমালা-২০১৮ এর ৮(ক) ধারায় উল্লেখ আছে প্রেষণের সময়কাল ৩ বছরের বেশি হবে না।

অভিযোগ আছে, জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর অধিক্ষেত্র পুরো চট্টগ্রাম মহানগর। এ সুবাদে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা, বদর, কাস্টমস, পুলিশ, সিডিএ, বিআরটিএ, রেলওয়ে, ভূমি অফিস, রেজিস্ট্রি অফিস, পাসপোর্ট অফিস, চসিক, ওয়াসা, নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি দমন করার পরিবর্তে এসব খাত থেকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ আয় করছেন তিনি। এসব টাকা ওয়েল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম কমু ও ইন্ট্রাকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচএম হাকিম আলীর মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছেন তিনি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্যক্তিগত ট্যুরে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে যান চন্দন। মূলত পাচার করা টাকার ব্যবস্থা করতেই সেখানে গিয়েছেন।

অবৈধ উপার্জনে নিজের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদরের বিশ্বাস বেতকা ঢাকা রোডে জমি কিনে বিল্ডিং করেছেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার খিলজী রোডের শ্যামলী বি-ব্লকে বাড়ি করেছেন। অথচ তার বাবা মনজুরুল হক ছিলেন কৃষক। চন্দনের হয়ে টাকা কালেকশন করে দুদক চট্টগ্রামের শফিক ইসলাম। শফিকের বাড়িও চন্দনের এলাকা টাঙ্গাইলে।

অভিযোগে আরোও বলা হয়, অবৈধভাবে উপার্জিত কোটি কোটি টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করছেন দুদকের এ কর্মকর্তা। ব্যক্তিগত ভ্রমণে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে ছিলেন তিনি। এসময় শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। শুধু পাচার নয়, অবৈধ সম্পদ ও অনিয়ম লুকাতে সদা তৎপর চন্দন। বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে নজরদারি ও তদন্তের নানা কলাকৌশল তার জানা। ফলে নিজেকে নজরদারির বাইরে রাখতে ফেসবুক, টুইটারসহ কোন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন না তিনি। এছাড়া নিজের পরিচিত নাম্বারটি ব্যবহার করেন বাটন মোবাইল সেটে, যাতে তাকে কেউ নজরদারি করতে না পারে। অন্যজনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম স্মার্টফোনে ব্যবহার করে সেই মোবাইল নিয়ে গোপনীয় কাজ করেন দুদকের এ কর্মকর্তা।

জানতে চাইলে লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

সান নিউজ/এনএএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে হ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণহানি 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্ট...

আরও ২ দিন বন্ধ সিটি কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আরও ২ দিন সি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা