নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এবারের বাজেট হবে গণমুখী ও কল্যাণমুখী। জীবন ও জীবিকার বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রস্তাবিত বাজেট আগামীকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।’
বুধবার (১০ জুন) নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট এমআরটি লাইন-৫ এর নর্দান রুট চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। একইভাবে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার মতামত নিয়েই যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার ও দলের অভ্যন্তরে তিনি সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে একমাত্র আওয়ামী লীগেই গণতন্ত্রের চর্চা হয়ে থাকে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে অংশীজনদের মতামত, পরামর্শ এবং অর্থনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা ও পার্টির ইশতেহারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে, এরপরই বাজেট প্রণয়ন করা হবে।’ বাজেট প্রণয়নে পরামর্শ নেওয়া হয় না বলে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযোগ করেছেন তাকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে অভিহিত করেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। আজ সেতুর ৩১তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেতুর চার হাজার ৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে।’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে উড়াল ও পাতালসহ ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত রুট-৫ এর নর্দার্ন অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতাল এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার হবে উড়াল। এ রুটটি নির্মাণে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে জাপান সরকারের অর্থায়ন প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা।’
তিনি আরও জানান, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রো রুট-৬ এর চলমান কাজের শতকরা ৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি কাজের গতি আরও বেড়েছে। ইতোমধ্যে এ রুটে ১০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং এক কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার চুক্তিপত্রে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে জাপানের নিপ্পন কোয়ে কোম্পানি লিমিটেড-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কেন নিশিনো ও ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড-এর সভাপতি ঈজি ইওনেযাওয়া স্বাক্ষর করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশে জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া সহ মেট্রোরেলের বিভিন্ন রুটের প্রকল্প পরিচালক, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে এসময় যুক্ত ছিলেন।