নিজস্ব প্রতিবেদক: গরীবের আইনজীবী খ্যাত প্রবীণ আইনজীবী এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া সাধারণ মানুষকে আইনি সহযোগিতার পাশাপাশি আইনজীবীদের পরম বন্ধু বাসেত মজুমদারের আইন অঙ্গণে অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
এর আগে সকাল আটটার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের ছেলে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাদ জোহর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে পারিবারিক কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হবে।’
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আবদুল বাসেত মজুমদারকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২৫ অক্টোবর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আবদুল বাসেত মজুমদারের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার লাকসামে। তার বাবার নাম আবদুল আজিজ মজুমদার, আর মা জোলেখা বিবি। ১৯৬৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৬৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
আবদুল বাসেত মজুমদার দুস্থ আইনজীবীদের জন্য নিজের নামে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতিতে এ ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। দীর্ঘ পেশাজীবনে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ