নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাণিজ্য কূটনীতি সহজ করছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী নীতি-নির্ধারক, ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এনে মঙ্গলবার থেকে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োাগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন আরও কী পণ্য আমরা উৎপাদন করতে পারি এবং আমরা রফতানি করতে পারি সেটাও গবেষণা করে বের করতে হবে। সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে এবং কোন কোন দেশে কী কী পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেটা অনুধাবন করে সেই পণ্য আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে পারি কি না সেটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, কাজেই আমাদের যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে বিশেষ করে বেসরকারিখাত, আমি তাদেরকে অনুরোধ করব, এই বিষয়টার দিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। কারণ আমাদের রফতানি পণ্যের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ আমরা ইচ্ছা করলে পারি, সব কিছুই করতে পারি। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে, যেটা জাতির পিতা বলে গেছেন।
সরকার প্রধান বলেন, আমি আশা করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্যে দেশি-বিদেশি শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এসব খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের নব নব দ্বার উন্মোচিত হবে, রফতানি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি(ডিসিসিআই) এ আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সামিট আয়োজন করেছে।
সামিটে বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশের ৩৮ দেশের ৫৫২ কোম্পানি ৪৫০ বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ম্যাচ মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করেছে। তা ছাড়া, বিভিন্ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ছয়টি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হবে। যেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ্রগ্রহণ করে এই বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন।
সান নিউজ/এফএআর