নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে দিন দিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। একই সাথে বাড়ছে করোনার মেডিকেল বর্জ্য। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে করোনার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য সেবা) সচিব, স্থানীয় সরকার,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালককে ই-মেইলে নোটিশটি পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশের বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি থেকেও এ ভাইরাস হয় ছড়িয়ে থাকে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক নির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থাপনা ছাড়াই সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে যত্রতত্র ফেলায় দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
আরও বলা হয়,সংক্রমণের পর থেকে দেশে করোনা বর্জ্য হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে এক হাজার ৩১৪ টন সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস বর্জ্য ও ৪৪৭ টন সার্জিক্যাল মাস্কের বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
এ ধরনের বর্জ্যের সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকায় পরিবেশের ক্ষতিসাধন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ দেশের জনগণ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সে কারণেই নোটিশ গ্রহীতাদের উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ নোটিশ পাঠানো হলো।
নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। তা না হলে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।