নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীরা কেউ কেউ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, এই ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এটি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার শামিল।
আজ বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত 'সরকারি সেবায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা' শীর্ষক টিআইবির এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৫০ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, তার পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। যত দিন রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে, তত দিন সংখ্যালঘু নির্যাতন দেশে কমবে না। বাংলাদেশের যতগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে তার কোনোটার বিচার হয়নি।
টিআইবি পরিচালক বলেন, হামলাকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক দলগুলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ তৈরি হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, করোনাকালে দলিত শ্রেণির অনেকেই বর্ণবাদের কারণে আর্থিক সহায়তা পাননি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষেরা সেবা পান না বলেও গবেষণায় দাবি করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সংখ্যালঘু দলিত প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে নানা বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
টিআইবির পরিচালক শেখ মানজুর-ই-ইলাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন টিআইবির গবেষক ও পলিসি পরিচালক মো. রফিকুল হাসান।
সাননিউজ/ জেআই