কূটনৈতিক প্রতিবেদক: আন্ত:নদী সংলাপে অংশ নিতে দিল্লিতে রয়েছেন বাংলাদেশের নৌ-সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুনালো ভিন্ন একটি তথ্য। তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদীর পানি।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক, ২১তম স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক এবং দ্বিতীয় ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটির বৈঠকে অংশ নিতে নৌ-সচিবের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছে। আজ কর্মসূচি শুরু হয়ে চলবে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। বৈঠকে অংশ নিতে ১৯ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পানির চাপ কমাতে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। লালমনিরাহাটের হাতীবান্ধার দোয়ানী ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। সময়ের সাথে এটি আরও বাড়তে পারে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় হাতীবান্ধার দোয়ানী ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয় ৫৩.২০ সে.মি.। যা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার বেশি।
এদিকে হঠাৎ পানি বাড়ায় সদর ও হাতীবান্ধার সানিয়াজান, সিন্দুর্না, সিংগীমারী, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শোলমারী, কৈমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কুটিরপাড়, বাহাদুর পাড়া, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, বাগডোরা, রাজপুরসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে রোপা ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, নীলফামারীতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তরাখাণ্ড রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত পাঁচজন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্যজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর, সেতু ও রাস্তাঘাট। ভূমিধসে রাস্তা আটকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজ্যের নৈনিতাল, কালাঢুঙ্গি, হলদিবানি, ভবালিসহ আরো অনেক এলাকা। সৃষ্ট এ পানির চাপ কমাতেই ব্যারেজের গেইট খুলে দিয়েছে দেশটি।
সান নিউজ/এফএআর