নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার দায়ভার প্রশাসনের উপর চাপিয়েছেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তার অভিমত, সিদ্ধান্ত গ্রহণে যথেষ্ট অবহেলা ছিল স্থানীয় প্রশাসনের। শিগগিরিই গণতদন্ত কমিশনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন দাখিলের কথাও জানান তিনি।
সংখ্যালঘুদের প্রথম হামলা শুরু হয় কুমিল্লায়। অতঃপর সহিংসতার আগুন ছড়িয়ে পরে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে।
১৮ অক্টোবর নোয়াখালীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌলবাদ বিরোধী নাগরিক গণতদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। জানালেন তার অভিজ্ঞতা।
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, সবার একটি অভিযোগ ছিল যে নোয়াখালীর ডেপুটি কমিশনার সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এটার সাথে ইনভল্ব ছিল। হিন্দু নেতৃবৃন্দ তাকে ফোন করেছে কিন্তু চার ঘণ্টা তাদের ফোনের জবাবই দেননি।
বিচারপতি মানিকের অভিমত, প্রশাসনের ভেতরে এখন বহুসংখ্যক ধর্মান্ধ। সামনে ভালো সেজে, পেছনে গিয়ে হামলা-হত্যায় উস্কানি দিচ্ছে তারা। এজন্য নতুন করে নোয়াখালীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের বাসনা জানান তিনি।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমরা সবকিছু তলিয়ে দেখব। প্রমাণ পেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই প্রতিবেদন আমরা পাঠাব। আমরা রিকমেন্ড করবো যে, এই ধরনের ডিসিদের যেন কোন অবস্থায়ই কোন জেলায় দায়িত্ব প্রদান না করা হয়।
বিগত দিনে সাম্প্রদায়িক হামলায় যারা যুক্ত ছিল তাদের সাজা হয়নি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি মানিক।
বিচারপতি মানিক আরও বলেন, প্রসিকিউশনের পক্ষের আইনজীবীদের কঠোর হতে হবে। যাতে এরা জামিনে বের হয়ে যেতে না পারে। তাছাড়া বিচারের প্রক্রিয়াকেও তরান্বিত করতে হবে।
সাননিউজ/ জেআই