নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার বিষয়ে আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক এমপি। বুধবার (১৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সকলকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে হনুমান মূর্তির কোলে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ মানুষ নানুয়ার দিঘিরপাড়ে জড়ো হয়ে মিছিল করেন।
সূত্র জানায়, ওই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে দুটি মণ্ডপে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এতে প্রায় পাঁচ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, আমরা পবিত্র কোরানের মর্যাদা বুঝি। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা আমাদের বলেছেন, পূজা বন্ধ রাখতে। আমরা তাদের পূজা চালিয়ে যেতে বলেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলামেও কারও ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার বিধান নেই।
সান নিউজ/এফএআর