নিজস্ব প্রতিবেদক: বিতর্কিত ও আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের বাংলাদেশ পুলিশকে ৫শ কোটি টাকা দিতে চেয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিল্ডিং করে দেবেন। তিনি দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর পুরো খরচ দিতে চান। এসব করে দেবেন সুইস ব্যাংকে তার রাখা ৮২ কোটি ডলার পেলে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মুসাকে ডিবির কার্যালয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে তিনি ডিবির কর্মকর্তাদের এসব কথা বলেন। তবে ডিবি তার বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (গুলশান) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, মুসা কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজের অঢেল সম্পদের যে ফিরিস্তি দিয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে।
ডিবি মনে করে, মুসা অন্তসারশূন্য। তিনি একটা ভুয়া লোক, তার কিছুই নেই। রাজধানীর গুলশানে তার একটা বাড়ি আছে। এটাও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে। দেশে তার নামে আর কিছুই পায়নি ডিবি। তিনি সব মুখরোচক গল্প করেছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, উনি (মুসা) বলেছেন বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, সব তার অবদান। তিনি খামখেয়ালি কথা বলেন।
এরআগের মুসার সঙ্গে বডিগার্ড দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার দেখা যায়নি। এ বিষয়ে হারুন বলেন, তাকে (মুসা) আগেই বলে হয়েছিল ভেতরে কোনও বডিগার্ড আনা যাবে না।
সম্প্রতি অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া আবদুল কাদের নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতেই মুসা বিন শমসেরকে মঙ্গলবার ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। ডিবি কার্যালয়ে হাজির হন মুসা, তার স্ত্রী শারমিন চৌধুরী, ছেলে জুবেরী হাজ্জাজ। তাদের প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর আবদুল কাদের নিজেকে মুসার আইন উপদেষ্টার পরিচয় দিতেন।
সাননিউজ/এমআর