নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুন) বিকেলে মোহাম্মদ নাসিমের ব্যক্তিগত সহকারী আশরাফুল আলম মিন্টু গণমাধ্যমকে জানান, বোর্ড মিটিংয়ে তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা মোহাম্মদ নাসিমকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখেন। এবার তা বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত সোমবার (১ জুন) থেকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার (৫ জুন) তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের কথা ছিল। কিন্তু সেদিন ভোর সাড়ে ৫টায় স্ট্রোক করায় তার অবস্থার অবনতি ঘটে।
পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় এবং অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রাজিউল হককে ফোন করে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম কয়েক দশক ধরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলেরও মুখপাত্র।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভায় মোহাম্মদ নাসিম কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তিনি স্বরাষ্ট্র, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বিগত সরকারের তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে টানা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।