নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি নির্মাণের লক্ষ্যে সংরক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দের আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বন বিভাগ ও সংসদীয় কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে অকৃষি খাসজমি দেখিয়ে বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে এই বনভূমিতে প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া কেন অবৈধ, বেআইনি ও বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিঞা ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবীর।
গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ৭০০ একর বনভূমি প্রশাসন একাডেমির জন্য বরাদ্দ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে সংরক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ঝিলংজা বনভূমির ওই এলাকা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।
বন বিভাগ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে ভূমি মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে। বন বিভাগের দাবি, এই জমি তাদের। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে।
সাননিউজ/ জেআই