নিউজ ডেস্কঃ
দীর্ঘদিন ধরে উড়ন্ত মশা মারার ওষুধ ছিটানো বন্ধ থাকার পর অবশেষে উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ওষুধ ধার নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির ভাণ্ডারে বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধ থাকলেও সেটি ফরমুলেশন (মিক্সিং) করতে না পারায় এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে ওষুধ ফরমুলেশনের জন্য ৬ মাস ধরে দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করলেও এখন পর্যন্ত তা চূড়ান্ত করতে পারেনি সংস্থাটি। দুই সিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে মশার ওষুধ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেটি ভাঙতে উদ্যোগ নিয়েছেন ডিএসসিসির বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এরিমধ্যে তিনি সংস্থার ভাণ্ডার বিভাগ পরিদর্শন করে নতুন আমদানিকৃত মূল ওষুধ নিজে উপস্থিত থেকে মাঠ পরীক্ষা করেছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে ওষুধ ফরমুলেশনের সব কাজ ডিএসসিসি থেকে করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, মশার ওষুধ সংকট দেখা দেওয়ায় ডিএসসিসি'র স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ৫০ হাজার লিটার ওষুধ ধার চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে একটি পত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৫ হাজার লিটার ওষুধ ধার দিতে ফাইল অনুমোদন দিয়েছে ডিএনসিসি।
দক্ষিণ সিটির একাধিক মশক সুপারভাইজার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত এক মাস ধরে তারা উড়ন্ত মশা মারার জন্য ঠিক মতো ওষুধ পাচ্ছেন না। অনেক আগে থেকেই ওষুধ কমে এলে খুব অল্প অল্প করে দেওয়া হতো। বর্তমানে তাদের হাতে কোনও ওষুধ নেই। ভাণ্ডার বিভাগ ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না।
তবে মশার ওষুধ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলতে রাজি নন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। মশার ওষুধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোনও কথাই বলতে রাজি হননি ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ওষুধ চেয়ে দক্ষিণ সিটি থেকে আমাদের একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমাদের মেয়র মহোদয় বলেছেন, আমরা দুই সিটি করপোরেশন একসঙ্গেই কাজ করবো। মশা নিয়ে কোনও অবহেলা নয়। তিনি অত্যন্ত পজিটিভ। তাই তিনি ওষুধ দিতে বলেছেন। আমরা অনুমোদন দিয়ে দিয়েছি।