নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী শনিবার চুক্তি সই করবে জাতিসংঘ। বুধবার (৬ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মহসিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে চাপ কমাতে সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। সরকার এখন পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়ন এবং দেশি-বিদেশি সাহায্য সংস্থাকে যুক্ত করে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে শুরু থেকেই জাতিসংঘ বিরোধিতা করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ভাসানচর কতটা ঝুঁকিমুক্ত, রোহিঙ্গাদের অবাধে ভাসানচর থেকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত, তাদের স্বেচ্ছায় ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে কি না, এ বিষয়গুলো নিয়ে জাতিসংঘের প্রশ্ন ছিল।
সরকার কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজ শুরু করে অব্যাহত রাখার একপর্যায়ে সেখানে একটি কারিগরি দল পাঠায় জাতিসংঘ। কাছাকাছি সময়ে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), ঢাকায় পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের পর জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার ভাসানচর সফর করেন। এসব সফরের পর জাতিসংঘের কারিগরি দলসহ প্রতিনিধিদল ভাসানচর নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখায়।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় দফায় মিয়ানমারের ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু, নারী ও পুরুষের সংখ্যা যথাক্রমে ৮ হাজার ৭৯০ জন, ৫ হাজার ৩১৯ জন ও ৪ হাজার ৪০৯ জন।