নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস। এ দিবসে উঠেছে এসেছে ভিন্ন একটি তথ্য। বর্তমানে দেশে জনসংখ্যার চেয়ে জন্ম নিবন্ধনকারীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে এ অবস্থা বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
দ্বৈত নিবন্ধন, মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন বাতিল না করাসহ বিভিন্ন কারণেই হিসাবে গড়মিল। সংকট সমাধানে নতুন সফটওয়্যারে পুরনো তথ্য স্থানান্তর হচ্ছে। এতে আবার অনেকেরই পূর্বের নিবন্ধন তথ্য হারিয়ে যাচ্ছে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করার বাধ্যকতা আছে। জরুরি ১৮টি সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন।
দেশে ২০১০ সালে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন শুরু হয়। তবে দুর্বল সফটওয়্যার, দক্ষ লোকবলের অভাবসহ নানা সংকটে একই ব্যক্তির একাধিকবার নিবন্ধনের সুযোগ তৈরি হয়। ফলে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি হলেও এখন পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন হয়েছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ প্রায়।
অসঙ্গতি দূর করতে পুনরায় অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাদের নিবন্ধন অনলাইনে হয়নি, তাদেরকে আবারও নিবন্ধন করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১০ সালের পর নিবন্ধিত অনেকের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না।
শুরু থেকে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকা সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, ৫ বছরের নিচে নিবন্ধন আছে ৫৬ শতাংশের।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানিয়েছে, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ইনফরমেশন সিস্টেমকে শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। ব্যক্তিগত বিভিন্ন সনদের সাথে যুক্ত জন্ম নিবন্ধনের দ্বৈততা রুখতে না পারলে ঝুঁকি তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সান নিউজ/এফএআর