নিজস্ব প্রতিবেদকঃ করোনায় সাংবাদিকতা পেশায় অনেক বিপর্যয় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন মাইনুল হাসান। তিনি বলেন, গত একবছরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩৪ জন সদস্যকে হারিয়েছি।
বুধবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অকালে প্রাণ হারানো প্রয়াত ৩৪ সাংবাদিকদের স্মরনে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা আজকে যে ৩৪ জনকে বিয়ে আলোচনা করেছি প্রত্যকে আমাদের আপনজন।
তিনি আরও বলেন, করােনা অতিমারির ছােবলে দেশ, জনপদ এখনাে বিধ্বস্ত। এ এক দু:সহকাল। গত এক বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক স্বজন, সুহৃদ-সহযােগীকে। সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির ধারাবাহিক যে প্রয়াস, তার অগ্রসৈনিক ছিলেন তাঁদের অনেকে। আমাদের প্রিয় সেকেন্ড হােম জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সূচনালগ্নে তাঁদের গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।
সাংবাদিক নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছরে করোনা আক্রান্ত হয়ে আমাদের ৫২ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। যা আমাদের জন্য হৃদয়বিদায়ক। দুর্বাগ্য আমাদের যারা চলে যায় আমরা তাদের ভুলে যায়। যারা আমাদের সাংবাদিকতার ভিত্তি গড়ে তুলেছে এবং এই প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত করেছে আমরা কয়েকজনকে মনে রেখেছি। আমরা তাদের মনে রাখতে চাই। তাদের আদর্শকে বাচিয়ে রাখতে চাই।
সাংবাদিক নেতা মুনজুরুল হাসান বুলবুল বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের এমন গুনী সাংবাদিক সদস্যদের মৃত্যুর বরণ করেছে তা আমাদের জন্য আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতি।
গত বছর ২৪ অক্টোবর থেকে এই বছর ৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই সকল সাংবাদিক প্রাণ হারায়। স্মরণ সভায় বক্তারা করোনায় প্রাণ হারানো সকল সাংবাদিকদের স্মৃতি চারণ করে। এসময় অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণসভা অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এর সভাপতিত্বে, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, বাসসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা হাসান হাফেজ, আরেক সাংবাদিক নেতা মনজুরুল হাসান বুলবুলসহ অনেক সিনিয়র সাংবাদিক।
সান নিউজ/এমএইচ