নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবসরে গেলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে গাফিলতির শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন না কোনো কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন তিনি। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এম এ মান্নান জানান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পে অনিয়মে জড়িত কোনো কর্মকর্তা যদি অবসরে গিয়ে থাকেন, তাঁদেরও শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালে শুরু হয়েছিল। তিন বছরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ১১ বছরেও হয়নি। এ প্রকল্পে দরপত্র আহ্বানে অনিয়ম, একাডেমিক, হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়মসহ বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, সরকারি চাকরিতে থাকাকালে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোনো কর্মকর্তা আর্থিক অনিয়ম করেছেন কিন্তু চাকরিতে নেই, তখন পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্টের (পিডিআর) মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালে যখন পাস হয়, তখন এর ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। এখন সেই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেক সভায় ওঠালে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠান। অনিয়মে কারা জড়িত, তা বের করতে আইএমইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আট মাস তদন্ত শেষে আইএমইডি একটি প্রতিবেদন আজ দাখিল করে।
এদিকে আজকের একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেসব এলাকা এখনো অনগ্রসর, সেসব এলাকার উন্নয়নে নতুন প্রকল্প নেওয়ার জন্য।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সান নিউজ/এফএআর