নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ডিজিটাল সিস্টেম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কনফারেন্স করতে শুরু করেছিলাম। এখানে (দেশে) চমৎকার সিস্টেম রয়েছে। এর মধ্যে আমি আমেরিকায় গিয়েও ডিজিটাল মাধ্যমে কনফারেন্স করলাম। সেখান থেকেও তো আমাদের এখানে সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে।
সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের ব্যাঙ্গ করা হলো। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ কি বাস্তবায়ন হয়নি? আমরা তো সবকিছুই ডিজিটাল মাধ্যমে করছি।
সম্মেলনে জাতিসংঘ প্রদত্ত টেকসই উন্নয়নের 'এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড' দেশের জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে - এই পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। আমি আমার এই পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করছি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বক্তব্যে আমি কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করি।
দেশে চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের অনেকে মাদক পাচারে জড়িত। যা দেশের জন্য আশঙ্কাজনক।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার উপহার ঘর প্রকল্পে অনিয়ম ও ঘর ভাঙনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের কোন সরকার দেশের জনগণকে ঘর উপহার দিয়েছে আমার জানা নেই। বর্তমান সরকার এটি করেছে। উপহারের ঘরগুলো কারা ভেঙেছে আপনারা খোঁজ নেন। বহু প্রমান আছে ঘরগুলো ভেঙে ফেলার। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পে নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তবে দেড় লাখ ঘর দেয়া হলো। এগুলোর সবগুলোই কি ভেঙে পড়েছে নাকি কেউ ভেঙেছে?
ভেঙে ফেলা ঘর আর ভেঙে যাওয়া ঘর কেমন সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে সাংবাদিকদের আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী।
সান নিউজ/এফএইচপি