নিজস্ব প্রতিবেদক: তালাক দেওয়া স্ত্রীকে (৩২) আবারও বিয়ে করার প্রলোভনে ঢাকায় আনেন পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হোসেন। এরপর ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে ওই নারীকে ঢাকায় একা ফেলে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগী ওই নারী রাজধানীর আদাবর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২ অক্টোবর) ভোররাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেছেন আদাবর থানার এসআই মাধব চৌধুরী।
তিনি বলেন, ওই নারী পাবনার ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢামেকের ওসিসি’তে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের ওসিসির সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে ভোরে ওই নারীকে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে তার ফরেনসিক হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, বিয়ের প্রলোভনে ঢাকায় এনে আদাবরের ১০ নম্বর রোডের একটি বাসায় গত শুক্রবার ধর্ষণ করেন ফারুক হোসেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী নারী ফারুক হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের ডিভোর্স হয়। তাকে আবারও বিয়ে করার প্রলোভনে ঢাকা আনেন চেয়ারম্যান ফারুক। ধর্ষণের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে পালিয়ে যান।
সাননিউজ/এমআর