নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের বিশেষ অনুমতির ৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে গত ১২ দিনে ১৮৩ চালানে ৯৬১ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি করা হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ও ২৩ সেপ্টেম্বর আরেক নির্দেশে ২ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয়। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে অবশিষ্ট ইলিশ ভারতে রপ্তানি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫২ জন রফতানিকারককে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এবং পরবর্তীতে ২৩ সেপ্টেম্বর ৩৭ জন ব্যবসায়ীকে আরও ২ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রফতানি করতে পারবেন। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত ইলিশ ভারতে রফতানি শেষ করতে হবে। এরমধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ০২ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রফতানি হয়েছে ৯৬১ মেট্রিক টন।
বেনাপোল বাজারের ইলিশ বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম জানান, ভারতে ইলিশ রফতানি হওয়াতে পূর্বের তুলনায় দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে ভারতের বাজারে ইলিশ সংকট দেখা দেওয়ায় প্রতি কেজিতে বাজার মূল্য বেড়েছে ২শ থেকে ৩ শত টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারে চাহিদা মত ইলিশের যোগান মিলছে না। রফতানি শেষ হলে আবার বাজারমূল্য কমে আসবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, ইলিশ রফতানি কার্যক্রম দ্রুত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইলিশ রফতানিকারক বাংলাদেশের নুরুল আমিন বিশ্বাস জানান, দেশে ইলিশের উৎপাদন ঘাটতি থাকায় ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি বন্ধ করেছিল সরকার। পরবর্তীতে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্কের সূত্র ধরে সরকার ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর পূজার আগে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়ে আসছে।
সাননিউজ/ জেআই