আজ ১২ জানুয়ারি ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা মাস্টারদা সূর্য সেনের ৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি অস্ত্রাগার লুট ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়ায় দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লবী এই নেতা। ১৯১৬ সালে বহররমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন। তখন বিপ্লবীদের গোপন ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই কলেজটির অধ্যাপক সতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর সান্নিধ্যে আসেন। যুক্ত হন বিপ্লবী যুগান্তর দলে।
সূর্য সেন ১৯১৮ সালে তার শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রামে এসে গোপনে বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯২০ সালে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে অনেক বিপ্লবীর মতো তিনিও সামিল হন। মহাত্মা গান্ধী ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করলে বিপ্লবী দলগুলো আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে।
ইংরেজবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুট, জালালাবাদে ইংরেজদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ ও ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিপ্লবী উপাধি লাভ করেন।
বাঙালীর স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম কাতারের শহীদ ও বিপ্লবী হলেন সূর্য সেন। মুক্তি ও মানবতার সকল সংগ্রামে আমাদের চলার পথে অনুপ্রেরণা হয়ে চিরদিন তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে।
তার এই প্রয়াণ দিবসে মহান বিপ্লবী সূর্য সেন’কে আজ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
সান নিউজ/সালি