নিজস্ব প্রতিবেদক: মন্ত্রীর নিজেরই রাইস মিল রয়েছে, এমন অভিযোগে ক্ষেপে গিয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চাইলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত 'খাদ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজার পরিস্থিতি: প্রেক্ষিত খাদ্য অধিকার' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়েবিনারে মিল মালিকরা কিভাবে চালের বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
এই অর্থনীতিবিদের বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের এক কর্মী হঠাৎ বলে বসেন, 'মন্ত্রীর নিজেই তো রাইস মিলের মালিক।'
একথা শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বারবার জানতে চান কে এই মন্তব্য করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, 'এই কথাটা বলে গোটা মিটিংটা কলুষিত করা হয়েছে। এই কলঙ্ক নিয়ে আমি মন্ত্রিত্ব চালাতে চাই না। প্রয়োজনে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিব।'
তিনি আরও বলেন, 'আপনারা মনে করলে আমি এখনই চাকরি ছেড়ে দিব। একইসঙ্গে আমার মনে হয় এই অনুষ্ঠানটিও ছেড়ে যাওয়া উচিত।'
ক্ষোভ প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যা করে পরে মন্ত্রী জানান, তিনি একজন কৃষক। তার পরিবারও কৃষক পরিবার। তারপরও তাকে বিভিন্ন জায়গায় চাল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশ্ন শুনতে হয়। যে কারণে তিনি বেশ বিরক্ত এবং তার বেশ মন খারাপ হয়।
তিনি বলেন, 'আমার এলাকা নিয়ামতপুরে একটি রাইস মিলও নেই।'
পরবর্তীতে উপস্থাপকের সহায়তায় মন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্যকারী সুবল সরকারকে খুঁজে বের করা হয়। এসময় তিনি মন্ত্রীকে 'রাইসমিলের মালিক' বলায় সরি বলেন। পরে মন্ত্রী তাকে ক্ষমাও করে দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। ভার্চুয়াল এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার সাইদ শাহীন।
সান নিউজ/এফএইচপি