প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো
জাতীয়

শেখ হাসিনা দিলেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ

সাননিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ সুবিধা এখন আর স্বপ্ন নয়। বাংলাদেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করে ২০২১ সালের মধ্যে সকল পরিবারের বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে।

২০০৯ সালে মাত্র ৪৭ শতাংশ থেকে ২৫,২৩৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে সরকার সফলভাবে তার ভিশন ২০২১ অর্জন করে, যা ২৪,০০০ মেগাওয়াটের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গেও মিলে যায়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দৃঢ় ভিত্তি রচনার পর সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালে মধ্যে ৪০,০০০ মেগাওয়াাট এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ যখন একটি সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হতে চায় ততদিনের মধ্যে ৬০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ‘সাফল্যের যুগ’। কেননা এ সময়টাতে তিনি বাংলাদেশের পুরো চেহারা বদলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, প্রায় শতভাগ পরিবারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্য সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং দুর্নীতি দমনে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গত ১২ বছরে অর্থনীতি সাত শতাংশের চিত্তাকর্ষক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।’

অনেক বড় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (পদ্মা বহুমুখী সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী-মহেশখালী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্র, পায়রা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্র ইত্যাদি) ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তার ৭৫তম জন্মদিনে শুভেচ্ছাও জানান।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ, অন্তরিক ও যোগ্য নেতৃত্বে কাজ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬-এ উন্নীত হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে এটি ছিল মাত্র ২৭। উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,২৩৫ মেগাওয়াটে (ক্যাপ্টিভসহ) পৌঁছেছে, যা ২০০৯ সালে ছিল ৪,৯৪২ মেগাওয়াট (ক্যাপ্টিভসহ)।

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আমরা সমস্ত পাওয়ার ক্যাবল এবং সাবস্টেশনকে মাটির নিচে নেয়ার জন্যও কাজ করছি। আমরা নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অংশ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের মোট উৎপাদন ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।’

নসরুল হামিদ বলেন, সৌর বিদ্যুৎ অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের তুলনায় অনেক ভালো এবং সরকার ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে। এছাড়া ছাদে সৌরবিদ্যুৎ জনপ্রিয় করতে নেট মিটারিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে এবং বায়ুশক্তির সাহায্যে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদনেরও সুযোগ আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনার মাধ্যমে বাংলাদেশ খুব শিগগির বিদ্যুতের ওপর সম্পূর্ণ স্বনির্ভরতা অর্জন করবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৮, ০৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা ২০০৮-২০০৯ সালে ছিল মাত্র ২,৬৭৭ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার ভারত থেকে ১,১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। এটি ছাড়া, বিদ্যুৎ খাত উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশে বর্র্তমানে ছয়টি উৎপাদন, একটি সঞ্চালণ ও পাঁচটি বিতরণ সংস্থা রয়েছে। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের কেন্দ্রীয় সংস্থা।

২০০৯ থেকে এপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালো মোট দেশীয় উৎপাদন (জিডিপি) অর্জন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, অবকাঠামো, আইসিটি, যোগাযোগ, রেলওয়েতে যোগাযোগ, স্বাক্ষরতা, সংস্কৃতি, কূটনীতি, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্সসহ সকল ক্ষেত্রে ভালো পারফর্ম করছেন।

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর মানবতার জননী শেখ হাসিনা সমুদ্রসীমার রায়ে জিতেন এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষিত ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পাঠান, কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ সংগ্রহ করেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন, বিজিবি ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জন্য হেলিকপ্টার, বাংলাদেশ বিমানের জন্য এয়ারক্রাফট এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য লোকোমোটিভ, যাত্রীবাহী কোচ, ওয়াগন, অন্যান্য যন্ত্রপাতি, ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার রেসকিউ সরঞ্জাম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের সরঞ্জাম কিনেন।
নসরুল হামিদ যোগ করেন, ‘এখন মন্ত্রণালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে সকল নাগরিকের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ।’ সূত্র : বাসস

সাননিউজ/এমআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে হ...

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছ...

ফের বাড়ল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা...

ফের হারলো সাকিবের দল

স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে ফের হারের মুখ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা