নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া শওকত আলম সোহেল বলেছেন, আমার নিজের ইচ্ছায়ই গাড়ি (মোটরসাইকেল) জ্বালাইছি। এতে তো আমারই ক্ষতি হলো। রাগ করতে গিয়ে নিজের গাড়িই জ্বালিয়ে দিলাম। পুলিশের কোনো দোষ নেই।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছি তা জানতে চেয়েছে। এখন আমি এলাকায় চলে যাচ্ছি। আমি এ ঘটনায় অনুতপ্ত। আমি কেরানীগঞ্জে ব্যবসা করতাম। দেড় মাস ধরে পাঠাও চালাই। গত সপ্তাহেও আমাকে একটা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আজ ট্রাফিক পুলিশ আবারও মামলা দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সকালে বাড্ডা এলাকায় একটি ঘটনা ঘটে। আমরা তার পোড়ানো গাড়ি ও তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসি। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো ভুল ছিল কি না, কী ঘটেছিল এসব বিষয় জনার জন্য ওনাকে এখানে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
বাড্ডা থানার সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) সুবীন রঞ্জন দাস বলেন, লোকটি খুবই হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে বলে মনে হলো। তার এলাকায় ব্যবসা ছিল। করোনায় লোকসান করে এখন বাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব কারণে হতাশা থেকে হয়তো এ কাজ করেছেন।
গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে আগে থেকেই ট্রাফিক সদস্যদের বলা ছিল সকাল বেলা যেন কোনো মোটরসাইকেল না দাঁড়ায়। ঘটনাস্থলে রাইড শেয়ারিংয়ের একটি মোটরসাইকেল দাঁড়ালে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু ওই চালক কাগজপত্র না দেখিয়ে উল্টো রেগে গিয়ে নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে এসে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন শওকত আলী। অফিস টাইমে রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ট্রাফিক সার্জেন্ট তার গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে যায়। তবে মামলা না দিয়ে কাগজপত্র ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান শওকত। কাগজপত্র ফেরত না পেয়ে একপর্যায়ে হতাশ হয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ