নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে তিন মাস ধরে অব্যাহত তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমর নদীর ভাঙন। এতে বসতভিটা হারিয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এসব নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ কুড়িগ্রামবাসী।
শনিবার (২৫ সেপ্টম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ বলেন, কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন প্রায় দুই হাজার পরিবার। এসব পরিবারের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছে রাস্তা ও অন্যের জমিতে।
দুই বছরে কুড়িগ্রাম জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। শুধু রাজারহাটেই চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এসব নদীর কোথাও কোথাও ভাঙন রোধে দায়সারা কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নাব্যতা কমে যাওয়ায় তিস্তা নদী ক্রমাগত প্রস্থে বাড়ছে। ভাঙন বেড়ে এক সময়ের ২ কিলোমিটারের তিস্তা এখন ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারে পরিণত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, দ্রুত বাঁধ নির্মাণ, রাস্তায় ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেজর (অব.) আব্দুস সালাম, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমান, পরিবেশবিদ ও নদী গবেষক শেখ রোকন, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বাপার নির্বাহী সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, সাইদুল আবেদীন ডলার, অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন ও মোকছেদুর রহমান মাকসুদ সহ ঢাকাস্থ কুড়িগ্রামবাসীর সদস্যরা।
সাননিউজ/ জেআই