সান নিউজ ডেস্ক:
নির্ধারিত পরিমাণ লঞ্চ ছাড়বে জেনে বিকেলের লঞ্চ ধরতে দুপুরেই যাত্রীরা ভিড় জমিয়েছে সদরঘাটে। সোমবার (১ জুন) বিকেল ৫ টায় লঞ্চ থাকলেও যাত্রীরা এসেছেন দুপুর ১২ টায়। যাত্রীদের এই উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যেন ভিড়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে।
তবে সব চেয়ে বেশী ভিড় লক্ষ্য করা যায় ঘাটের ১০ নম্বর পন্টুনে। এখান থেকে হাতিয়া ও বেতুয়ার উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়ে। সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭৫ টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে এবং নোঙর করেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
দুপুরে ঘাটে গিয়ে দেখা যায় মানুষ দলে দলে লঞ্চ ধরার জন্য ছুটছে। সামাজিক দূরত্ব তো নেই, নিজেদের নিরাপত্তার কোথাও যেন অনেকে ভুলে গেছেন। প্রায় প্রত্যেকের কাছেই মাস্ক ছিল তবে সেটি মুখে থাকার চেয়ে হাতেই বেশী দেখা গিয়েছে।
যাত্রীরা বলেন এই ভিড়ের মধ্যে পরিবার নিয়ে যাত্রা করছেন বলে আগে আগে এসেছেন যেন ধীরে সুস্থে লঞ্চে উঠতে পারেন। তবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও করোনা প্রসঙ্গে অনেকেই জানান ‘এই অবস্থায়’ স্বাস্থ্যবিধি মানা অসম্ভব। আজ তাপমাত্রা বেশী ছিল এবং ভিড়ের মধ্যে তা আরও বেড়ে গিয়েছে তাই অনেকে মাস্ক খুলে রাখছেন বলে জানান কেউ কেউ।
তবে যাত্রীদের মধ্যে কেউ আবার আতংকও প্রকাশ করেছেন। যতটা সম্ভব নিজেদেরকে একটু আলাদা রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে নিরাপদ দূরত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
এদিকে ১০ নম্বর পন্টুনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাটের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন বলেন, শুধু ১০ নম্বর পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় আছে। এখান থেকে হাতিয়া-বেতুয়ার লঞ্চ ছাড়ে। আজ এই দুটো লঞ্চ ৫টা ও সাড়ে ৫টায় ছাড়ার কথা। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বাকি পন্টুনগুলোয় স্বাভাবিকের চেয়েও কম যাত্রী আছে। এই লাইনে যে কয়টি লঞ্চ ছাড়ার কথা তার মধ্যে মাত্র একটি যাবে। ফলে উপচেপড়া ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। বাকি ঘাট গুলোয় কোনও সমস্যা নেই। ভোর ৭টা থেকে এ পর্যন্ত ৪৮টি লঞ্চ এসেছে। ছেড়ে গেছে ২৭টি।
উল্লেখ্য যে প্রতিটি বাস, রেল ও নৌ টার্মিনালে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সান নিউজ/ বি.এম.