নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশ রক্ষার্থে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী । তিনি বলেন, আমার মতে, পাঁচ দফায় আসতে হবে। কেউ অনাহারে থাকবে না, কৃষক শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে, রিকশার মালিক হবেন চালক, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, কোনো শিক্ষিত বেকার থাকবে না।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা খালেদা জিয়া কি জেলে আছেন না মুক্ত আছেন? আসলেই যদি সাজা স্থগিত হয়ে থাকে, তবে তাঁকে মাঠে নামতে বলেন। শেখ সাহেব বলতেন, লাঠি নিয়া নাইমা পড়, সব পালায় যাবে।
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, এই দেশে একটা মানুষ খুন করলে জেল হয় ফাঁসি হয়; কিন্তু পুরো গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করল, তাদের কোনো বিচার হলো না কেন? ইমামদের দায়িত্ব নামাজ পড়ানো। বিচারের দায়িত্ব আপনাদের না। ইমাম সাহেবরা, আপনারা আমাদের নেতা, মেয়েদের আটকায়েন না।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আফগানিস্তানে খাদ্যসহায়তা দেন, তাদের সমর্থন দেন, যেন তারা কট্টরপন্থী না হয়ে যায়। সাহায্য পেলে তারা নিশ্চয়ই উদারপন্থী হবে। আর একটা শিশুও যেন ওইখানে না খেয়ে মারা না যায়।
দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে দাবি করে ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আইনজীবী, পেশাজীবী, মিডিয়া তারকা—সবার ওপরই নির্যাতন হচ্ছে। শুধু আমাদের দুর্বলতার কারণেই তারা টিকে আছে। আমি ডাকসুর ভিপি হয়েছি, কিন্তু আমি নিজে ভোট দিতে পারিনি। সংকটটা যেহেতু জাতীয়, তাই সবার এক হয়ে একটা রূপরেখা প্রস্তুত করা দরকার ৷ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, এখন ভোটাধিকারের এক দাবিতে রাস্তায় নামতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, সাংবাদিক নেতাদের মুখ বন্ধ করার জন্য ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। বিশ্বের সব দেশেই সরকার, রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করা যায়, কিন্তু এই দেশে করলে মামলা হবে, জেল হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাইছে এই সরকার। প্রকৃত যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা, তাঁদের নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটা দল অন্যায়ভাবে, ষড়যন্ত্র করে, গায়ের জোরে গত ১৩ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল নির্বাচনে যায়নি, তবু দুজন মারা গেছে, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়।
এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইবরাহিম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ। আলোচনাসভায় নেতৃবৃন্দ জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট ও গণতন্ত্রের দাবিতে একযোগে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন।
সাননিউজ/জেআই